বঙ্গভূমি ডেস্ক: শিলিগুড়ি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল হাতিমোড়। বাঘাযতীন পার্ক থেকে ২০০ মিটার দুরেই অবস্থিত হাতিমোড়। মূলত ডাবগ্রাম, শান্তিনগর, ইস্টার্ন বাইপাস সহ একাধিক এলাকার মানুষজনদের শহরের মূলপথে যাওয়ার এটিই সহজতম রাস্তা। তাই সকাল থেকেই ভিড় এই এলাকায় লক্ষ্য করা যায়। হাতিমোড়ের নেতাজি সুভাষ রোডের গুরুত্ব দিন প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। এখানকার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলি একদিকে যখন বেড়ে চলেছে, তেমনই বেড়ে চলেছে যানজটের সমস্যা। যা শিলিগুড়িতে এখন নিত্যদিনের সমস্যা। হাতিমোড়ের ব্যবসায়ীরা এই যানজটের সমস্যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, এই রাস্তা দিয়ে টোটো, অটো, বাস, রিক্সা সহ অন্যান্য বড় বড় যানবাহন চলাচল করে। সকাল থেকেই রাস্তায় ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এর ওপর আবার কিছু হকার রাস্তার ধার ঘেঁষে নিজেদের পণ্যসামগ্রী সাজিয়ে বসে পড়েন। ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ছে। এই পথ দিয়ে চলতে শুধু যানবাহনকারীদের অসুবিধা হচ্ছে তাই নয়, অসুবিধা হচ্ছে পথচারীদের। রাস্তা পার হতে হিমশিম খেতে হয় পথচারীদের। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অল্প পুঁজি নিয়ে ফুটপাতের ওপর যে সব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পেতে বসেছেন তাঁদের জন্য মূলত অসুবিধা হচ্ছে এখানকার স্থায়ী ব্যবসায়ীদের। দোকানের বাইরে রাস্তার ওপর হকাররা বসে থাকায় ক্রেতাদের মূল দোকানে আসতে অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তার ধার দিয়ে সাড়ি সাড়ি গাড়ি পার্কিং করে রাখায় ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের। বাঘাযতীন পার্কের সামনে থেকে নেতাজি সুভাষ রোড পার হয়ে গেলেও নেই কোনও গতিরোধক ব্যবস্থা। সুভাষপল্লীর কাছে গিয়ে স্পিড ব্রেকার লাগানো রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এখানে ট্রাফিক সিগনালিং ব্যবস্থা শীঘ্রই চালু করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে একজন ট্রাফিক পুলিস কর্মীরও এখানে থাকার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
যানজটে নাকাল হাতিমোড়ের ব্যবসায়ীরা
Please follow and like us: